শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন
আমলকীরও ওই ডালে ডালে,
পাতাগুলো শিরশিরিয়ে ঝরিয়ে
দিল তালে তালে।
মিরপুরের অক্সফোর্ড খ্যাত এ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে হাঁটি হাঁটি পাপা করে আজ একটা মহিরুহে পরিণত।প্রতিষ্ঠার পরপরই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ১৭তম স্থান করে নিল। ১৯৮২ সালে ১৮ ও ২০ তম স্থান দখল করে এভাবে ১৯৮৬ সালে ১৭ তম, ১৯৮৭ সালে ১৭ তম, ১৯৮৯ সালে ৪র্থ, ১৯৯২ সালে ১৯তম, ১৯৯৪ সালে ৭ম ও ১১ তম, ১৯৯৯ সালে ২০তম, ২০০০ সালে ৬ষ্ঠ ও ১৬তম স্থান অধিকার করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ২০০০ সালে পেল আরেকটা সোনার পালক দেশ সেরার মুকুট। ২০০১ সালে সমগ্র দেশে মোট ৭৪টি A+ পেলে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে শাকিলা কাইয়ুম A+ পেয়ে অনন্য নজির স্থাপঙ্করে। এরপর থেকে প্রতিবছর প্রায়ই ৩বার বা তার অধিক A+ পেয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করে চলছে। এখানে নার্সারি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত প্রায় ৭০০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। যোগ্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের টিম স্পিরিট উল্লেখ করার মতো। নবীন ও প্রবীণের সম্মীলনে শিক্ষারএকটা আদর্শ পরিবেশ তৈরী হয়েছে। ঢাকা-১৬ আসনের মাননীয় এমপি জনাব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্-এর সঠিক নির্দেশনায় অবকাঠামোগত ও পরিবেশ উন্নয়ন ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা একটা দক্ষ গভর্নিং বডি কতৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। একঝাঁক দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকের পাঠদান, সুশৃংক্ষল ও অনুকুল পরিবেশ, দক্ষ লাইব্রেরিয়ানের পরিচালনায় অসংখ্য রেফারেন্স বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, সায়েন্স ল্যাব, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, ডিবেটিং ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, বিএন্সিসি, রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানকে করেছে অনন্য। বার্ষিক ক্রীড়া, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার সিম্পজিয়াম, শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালা, খেলাধুলা, সর্বাধুনিক অডিটরিয়াম প্রতিষ্ঠানকে পৌছে দিয়েছে অনন্য মাত্রায়। ফিউচার স্কুল প্রতিষ্ঠা যুক্ত করেছে এক মুকুটে আরেকটা সোনার পালক। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবভাবকের নিকট আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল ও কলেজ সেকশনে আপনার সন্তানকে ভর্তি করে আপনিও হতে পারেন একজন গর্বিত অংশীদার।
এখানে শিকড় শুধু মানবতার বৃক্ষলতা
এখানে শব্দ শুধু বিশ্ব মায়ের বুকের কথার
এ কোন রণাঙ্গনের রক্তে ভেজা
সিক্ত প্রাণ তো নয়, সিক্ত প্রাণ তো নয়।
এখানে জন্ম কত শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকের
এখানে পটভূমি জ্ঞানীগুণী মনীষীদের
এখানে থাকবে কেন আতঙ্ক আর
হঠাৎ মৃত্যুভয়, হঠাৎ মৃত্যুভয়।
বিদ্যালয়, মোদের বিদ্যালয়
এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়।
বিদ্যালয়, মোদের বিদ্যালয়
এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়।
এখানে জ্ঞানের আলোর মশাল জ্বেলে
হয় রে সূর্যোদয়, হয় রে সূর্যোদয়
বিদ্যালয়, মোদের বিদ্যালয়
এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়।
মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ
অধ্যক্ষ
মীরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মিরপুর-১১ ও ৬, ঢাকা-১২১৬
